Events & Achievements




School Code: 6061 || College Code: 6028 || EIIN: 136825
পরম শ্রদ্ধেয় আব্দুল মজিদ ও জরিনা খাতুনের স্মৃতির স্মরণে প্রতিষ্ঠিত “মজিদ জরিনা ফাউন্ডেশন স্কুল এন্ড কলেজ ” ২০১৩ সাল থেকে যাত্রা করে অতি স্বল্প সময়ে সাফল্যের সিঁড়িতে উপনীত হয়েছে। ২০১৩ সালে যা ছিল অঙ্কুর আজ তা মহীরুহে পরিণত হয়েছে। সম্মানিত প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি মহোদয়ের দিক-নির্দেশনা ও সার্বিক পৃষ্ঠপোষকতায় ৭২ জন সর্বোচ্চ ডিগ্রিধারী শিক্ষক-শিক্ষিকা, প্রায় ৩৫০০ জন শিক্ষার্থীর সমন্বয়ে যে প্রাণোচ্ছ্বল পরিবেশ রচনা করতে পেরেছি তাতে অঙ্কুরিত গাছটি আজ ফুলে-ফলে সুশোভিত। এ প্রতিষ্ঠানটি আমি ও আমার সকল শিক্ষক-শিক্ষিকার ধ্যান, গর্ব ও অহংকার। এর উন্নতির জন্য ভাবনা তাই প্রতিনিয়ত। অধ্যক্ষ পদে যোগদানের পর থেকে প্রতিনিয়ত নিত্য নতুন পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি প্রতিষ্ঠানটিকে সর্ব অঙ্গনে শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট পরানোর জন্য। আর এ লক্ষ্য অর্জনে সকাল থেকে রাত অবধি সকল শিক্ষককে নিয়ে আমার প্রচেষ্টা প্রতিদিন অন্তহীন।
ইতোমধ্যে সে প্রচেষ্ঠায় আমরা বেশ কিছু দূর এগিয়েছি। জেএসসি, এসএসসি, এইসএসসি তথা পাবলিক পরীক্ষা সমূহে আমার প্রতিষ্ঠানের শিক্ষাথীরা বৃত্তি ও জিপিএ ৫ প্রাপ্তীতে শুরু থেকে জেলায় শ্রেষ্ঠত্ব দেখিয়ে আসছে।
এ প্রতিষ্ঠানে আমরা শিক্ষার্থীদের উন্নত পাঠদান নিশ্চিত করতে সর্বদা সচেষ্ট থাকি,প্রতি বছর শিক্ষাবর্ষের শুরুতেই পুরো বছরের শিক্ষা কার্যক্রম নির্দেশিকা হিসেবে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের কাছে একাডেমিক ক্যালেন্ডার তুলে দেয়। পঠন- পাঠন প্রক্রিয়া সঠিকভাবে এগিয়ে নিতে বছরব্যাপী আমরা প্রতিমাসে একটি FT পরীক্ষা, প্রতি ৩ মাস অন্তর ২ টি Mid Semester ও ৬ মাস অন্তর ২ টি Semester পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়। এর মাধ্যমে কোনে শিক্ষার্থী পিছিয়ে পড়লে তাকে দ্রুত pull- up করার ব্যবস্থা করা হয়। এছাড়া প্রতিদিন ক্লাসে Daily Class Test,ও HW পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীদের প্রতিদিনের পড়া যাচাই করা হয়। PEC,JSC,SSC ও HSC এ চারটি পাবলিক পরীক্ষার ক্লাস সমূহে ইউনিট ভিত্তিক ছোট ছোট পরীক্ষা নেয়া হয়।পরবর্তীতে PPT ,Pre- Test ও Test পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের চূড়ান্তভাবে বোর্ড পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত করা হয়। গাইড শিক্ষক পদ্ধতিতে সকল শিক্ষার্থীকে গাইড শিক্ষক দেয়া হয়। প্রতিটি পরীক্ষা শেষে অভিভাবকদের উপস্থিতিতে উত্তরপত্র দেখানো হয় ও রেজাল্ট কার্ড বিতরণ করা হয়। আর এ নিবিড় মনিটরিং ব্যবস্থার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা চূড়ান্ত সফলতা অর্জন করে।
এ প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হওয়া প্রত্যেকটি শিক্ষার্থীর যোগ্যতা উন্নয়ন ও মেধা বিকশিত করতে আমরা বদ্ধপরিকর। আমাদের সার্বক্ষনিক প্রচেষ্ঠা ভালো মানুষ গড়ার পাশাপাশি তাদের সর্বোন্নত ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করা।
আমার এ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এখান থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পড়াশোনা শেষ করে এখন বুয়েট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সহ দেশের সব খ্যাতনামা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অধ্যায়ন করছে। আমরা আমাদের শিক্ষার্থীদের উন্নত লেখাপড়ার পাশাপাশি যুগোপযোগী মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে বদ্ধপরিকর, আর এ জন্য কলেজে চালু রয়েছে ১৪টি ক্লাবের কার্যক্রম। এরমধ্যে বিতর্ক, আবৃত্তি, বিজ্ঞান অলিম্পিয়াড, গণিত অলিম্পিয়াড, ইংলিশ ল্যাঙগুয়েজ ক্লাব, স্পোর্টস, আর্ট,নাচ,গান ও কুইজ ক্লাব অন্যতম। ইতোমধ্যে আমার বিতর্ক ক্লাবের শিক্ষার্থীরা বাংলা ও ইংরেজি উভয় মাধ্যমে জাতীয় টেলিভিশন বিতর্ক প্রতিযোগিতায় শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছে। এ প্রতিষ্ঠানের অন্যতম মূলনীতি নৈতিকতা চর্চায় আমাদের রয়েছে" গার্লস এন্ড বয়েজ কাউন্সিলিং ক্লাব, এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের উন্নত মননশীল মানুষ হিসেবে গড়ে তোলা হয়। বছরব্যাপী এ প্রতিষ্ঠানের নানাবিধ আয়োজন শিক্ষার্থীদের মেধা ও দক্ষতা বৃদ্ধিতে অনবদ্য ভূমিকা রেখে চলেছে। প্যারেড,ডিসপ্লে ও স্কাউটিং, গার্লস গাইড ও কাব এর মধ্যে অন্যতম। এছাড়া বার্ষিক স্পোর্টস, নবীন বরণ,সাইন্স ফেস্টিভ্যাল, বৈশাখী মেলা, ক্লাস পার্টি,ফ্রেন্ডশীফ ক্লাস, আন্ত হাউস প্রতিযোগিতা ও বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা উল্লেখযোগ্য।
সর্বশেষ প্রতিষ্ঠানটি একাডেমিক, কো-কারিকুলা সহ সার্বিক অঙ্গনের সাফল্য বিবেচনায় ২০২২ সালে জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহে ঢাকা বিভাগের শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হবার গৌরব অর্জন করেছে। আমার বিশ্বাস এ সফলতা সমূহ এ প্রতিষ্ঠানের প্রতি সকল অভিভাবকদের আস্থার জায়গা আরও বেশি সমুন্নত করবে। সর্বোপরি এ প্রতিষ্ঠানের চার মূলনীতি শিক্ষা, নৈতিকতা, মানবতা ও দেশপ্রেম কে সামনে নিয়ে এ প্রতিষ্ঠানের সকল শিক্ষার্থীকে আধুনিক ও মননশীল মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই আল্লাহ আমাদের সহায় হোন।